জাতিসংঘ ও রেডক্রসের কর্মকর্তারা ইসরাইলি হামলায় ধ্বংস হয়ে যাওয়া ভবন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং হাসপাতালসহ গাজা উপত্যকায় ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
 
পরিদর্শন শেষে বুধবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, অধিকৃত ফিলিস্তিনে জরুরিভাবে চিকিৎসা সহায়তা দরকার। এ ধরনের সংঘাত জনসংখ্যার বাস্তুচ্যুতির পাশাপাশি মানবিক সংকটকে আরও বাড়িয়ে তোলে।
 
বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরাইলের সাম্প্রতিক হামলায় প্রায় ৭৭ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। স্বাস্থ্যসেবা সংশ্লিষ্ট প্রায় ৩০টির কাছাকাছি প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়ে গেছে।
 
ডব্লিউএইচও বলছে, পশ্চিমতীরসহ পুরো ফিলিস্তিনে কমপক্ষে দুই লাখ মানুষকে যেন চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া যায় সে জন্য কাজ চলছে।
 
হুর কর্মকর্তা রিক পিপারকর্ন বলেন, পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও এ বিষয়ে উদ্বিগ্ন। আমরা আহ্বান জানাই, গাজায় মানবিক ও উন্নয়ন-সংক্রান্ত সরবরাহ ও কর্মীদের জন্য নিরবচ্ছিন্ন প্রবেশাধিকার প্রয়োজন। একই সঙ্গে যখনই প্রয়োজন হবে গাজার বাইরে রোগীদের রেফার করার যেন সুযোগ থাকে।
 
ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব দ্য রেডক্রস (আইসিআরসি) গাজায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্য ১৬ মিলিয়ন ডলার অর্থ সহায়তার আবেদন জানিয়েছেন।
 
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গাজায় ইসরাইলের সাম্প্রতিক হামলায় ফিলিস্তিনের ২৫৪ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে ৬৬ শিশু। এ ছাড়া হামাসের রকেট হামলায় ইসরাইলের ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে দুই শিশু রয়েছে।